বড় পেঙ্গা | Greater Necklaced Laughing Thrush | Garrulax pectoralis

1627
বড় পেঙ্গা | ছবি: গুগল

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের পাহাড়ি অঞ্চলে এদের দেখা মেলে। পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও এরা আধা চিরসবুজ বনে খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জের সাতছড়ি এবং শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়ার জঙ্গলে গেলে এদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।

এরা প্রচুর ঝগড়াটে। যখন-তখন যে কোনো স্থানে সুযোগ পেলেই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। মজাদার ব্যাপার হচ্ছে, এরা ঝগড়াটে হলেও দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই প্রজাতির পাখিরা অত্যন্ত ভীতু। প্রচ- ঝগড়ারত অবস্থায়ও যদি কোনো ধরনের শব্দ শুনতে পায় বা কোনো ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব টের পায় তাহলে মুহূর্তে দলের সবাই চুপচাপ হয়ে পড়ে। এতটাই নীরব হয়ে পড়ে যে, কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায় না এতদস্থানে কয় সেকেন্ড আগেও পাখিদের ঝগড়া চলেছে কিংবা ওরা আছে এখনো।

পাখির বাংলা নাম: ‘বড় পেঙ্গা’, ইংরেজি নাম: ‘গ্রেটার নেকলেসড লাফিং থ্রাস’, (Greater Necklaced Laughing Thrush) বৈজ্ঞানিক নাম: Garrulax pectoralis | দেশে কয়েক প্রজাতির পেঙ্গার দেখা মেলে। তন্মধ্যে ছোট পেঙ্গা, লালচে ঘাড় পেঙ্গা, সাদা মুকুট পেঙ্গা ইত্যাদি।

এদের মধ্যে সাদা মুকুট পেঙ্গা নজরকাড়া সুদর্শন। অনেকের কাছে বড় পেঙ্গা ‘কণ্ঠিদামা’ নামে পরিচিত। প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২৯ সেন্টিমিটার। ঘাড়ের উপরাংশ পাটকিলে নিচের দিকে সাদাটে। গলায় কালো কণ্ঠি। পিঠ কমলা-বাদামি। ডানার প্রান্ত কালো। লেজের ডগার পালক সাদাটে। বুক-পেট হলদে-সাদা। চোখের বলয় হলুদ। ঠোঁট কালচে, বেশ শক্ত, গোড়ায় চিকন লোম রয়েছে।

ভূমিজ পোকামাকড় এদের প্রিয় খাবার হলেও গাছের ডালে ডালেও শিকার খোঁজে। প্রজনন মৌসুম মার্চ-জুলাই। ঝোপের ভিতর বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ফোটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 09/04/2019

মন্তব্য করুন: