সবুজ টিয়া | Rose ringed parakeet | Psittacula krameri

12174
সবুজ টিয়া | ছবি: ইবার্ড

 এ পাখি হিংস্র হলেও বেশ মিশুক। দোষগুণ দু’টিই এদের মাঝে বিদ্যমান। পোষ মানে দ্রুত, শিখালে কথাও বলে। অজস ছড়া-কবিতা রচিত হয়েছে এদের নিয়ে। দেশের প্রায় প্রতিটি স্থানেই কমবেশি এদের সাক্ষাৎ মিলে। বেশি দেখা যায় আর্দ্র পাতাঝরা বনে। পাহাড়ি বনবনানীতেও প্রচুর দেখা যায়। দেখা যায় বসতঘরের আশপাশে এবং শহরেও দেখা মেলে।

এদের বাংলা নাম: ‘সবুজ টিয়া’, ইংরেজি নাম: ‘রোজ রিংগডপ্যারাকিট’ (Rose-ringed parakeet), বৈজ্ঞানিক নাম: ‘সিট্টাক্যুলা ক্রামেরি’(Psittacula krameri), গোত্রের নাম: ‘সিট্টাসিদি’।

লম্বায় ৪০ সেন্টিমিটার। দেহের তুলনায় লেজ লম্বা। ঠোঁট রক্ত লাল, শক্ত-মজবুত ও ধারালো। উপরের ঠোঁট বড়শির মতো বাঁকানো। জিভ শক্ত। চোখের বলয় কমলা রঙের, মনি হলুদ-সাদা। দেহের অধিকাংশ পালক কলাপাতা-সবুজ। পিঠের কিছু অংশ ফিকে নীলচে, ধূসর আভাযুক্ত ও হলুদ। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম মনে হলেও পার্থক্য আছে খানিকটা। পুরুষ পাখির থুতনির নিচে কালো দাগ, গলায় ও ঘাড়ে গোলাপি-কালো মিশ্রণ কণ্ঠী। স্ত্রী পাখির ঘাড়ে সবুজ পালকে আবৃত। এ ছাড়াও পুরুষ পাখি কিছুটা লম্বা।

প্রধান খাবার: ফল, গাছের কচিপাতা, শস্যবীজ। ধান, বাদাম, দুধভাত বেশ প্রিয়। প্রজনন সময় মার্চ-মে। বাসা বাঁধে গাছের কোটরে অথবা পুরাতন দরদালানের ফাটলে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ডিম ফোটে ২২-২৪ দিনে।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ, 18/05/2013

মন্তব্য করুন: