
পরিযায়ী পাখি। উপমহাদেশীয় অঞ্চলে কমবেশি নজরে পড়লেও গ্রামীণ বনবাদাড়ে বেশি নজরে পড়ে। বিশেষ করে বাঁশঝাড়ের আশপাশে বেশি নজরে পড়ে। চটপটে চালচলন। উঁচু কণ্ঠে গান গায়। কণ্ঠস্বর সুমধুর। ফুর্তিবাজ পাখি। সারাদিন নাচানাচি, ওড়াউড়ি এসব করেই কাটায়। ছোট গাছ-গাছালি বিশেষ করে ঝোপঝাড়ের ভেতর বেশি বিচরণ। একাকী ঘুরে বেড়ায়। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। বিশ্বে এদের অবস্থান সন্তোষজনক।
পাখির বাংলা নাম: ‘খয়রাডানা বনফুটকি’| ইংরেজি নাম: ‘ব্রাউনিস ফ্ল্যাঙ্কেড বুশ ওয়ার্বলার’ (Brownish-flanked Bush Warbler)| বৈজ্ঞানিক নাম: Cettia fortipes | এরা ‘শক্ত-পা ঝোপের টুনি’ নামেও পরিচিত।
প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২.৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৮-১২ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। মাথা, ঘাড় ও পিঠ বাদামি। ডানা খয়েরি। লেজ গাঢ় বাদামি। দেহতল বাদামি মিশ্রিত সাদাটে। চোখ বাদামি। ঠোঁট খয়েরি, প্রান্তটা ফ্যাকাসে। পা গোলাপি বাদামি। তুলনামূলক পা লম্বা ও শক্ত।
প্রধান খাবার: কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়ের লাভা ও ডিম। প্রজনন মৌসুম মে থেকে আগস্ট। ভূমি থেকে ১ মিটার উঁচুতে ছোট প্রজাতির গাছের ডালে শুষ্ক ঘাস পাতা দিয়ে কাপ আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৪টি। ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫ দিন।
লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ, 05/01/2018