হলদেমাথা খঞ্জন | Citrine Wagtail | Motacilla citreola

3029
হলদেমাথা খঞ্জন | ছবি: ইন্টারনেট

পাখির বাংলা নাম: ‘হলদেমাথা খঞ্জন’। ইংরেজি নাম: ‘সিট্রিন ওয়াগটেইল’ (Citrine Wagtail)। বৈজ্ঞানিক নাম: Motacilla citreola | এরা ‘সিট্রিনি খঞ্জন’ নামেও পরিচিত।

দেশে প্রায় আট প্রজাতির খঞ্জন দেখা যায়। এরা দেখতে ভীষণ সুন্দর। স্লিম গড়ন। শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। প্রাকৃতিক আবাসস্থল জলাশয়ের কাছাকাছি স্যাঁতসেঁতে ভূমি। শিকারের উপযুক্ত স্থান জলাশয় এলাকা হলেও জলে নেমে শিকার ধরে না। তবে কখনো কখনো পায়ের পাতা ভিজিয়ে কীটপতঙ্গ খেতে দেখা যায়।

স্বভাবে চঞ্চল। সব সময় লেজ দুলিয়ে হাঁটে। মিষ্টি সুরে গান গায়। প্রজনন মৌসুমে নিজ বাসভূমে ফিরে যায়। বৈশ্বিক বিস্তৃতি দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও পশ্চিম ইউরোপ পর্যন্ত। এদের গড় দৈর্ঘ্য ১৫-১৭ সেন্টিমিটার। ওজন ১৮-২৫ গ্রাম। মাথা উজ্জ্বল হলুদ। ঘাড় কালো। পিঠ শ্বেত স্লেট-ধূসর। ডানার পালক জলপাই ধূসর, সঙ্গে সাদা টান। লেজ কালো। গলা ও দেহতল উজ্জ্বল হলুদ হলেও কালো ছোপ লক্ষ্য করা যায়। চোখ গাঢ় বাদামি। ঠোঁট হলদে ধূসর। পা কালো বাদামি। অন্যদিকে স্ত্রী পাখির মাথার মধ্যখানে কালো টান, দুই পাশ হলদে। থুতনি ও গলা হলদেটে। পিঠ ধূসর। ডানায় কালো-সাদা টান। হলদেটে বুকে কালো মালা সাদৃশ্য রেখা। প্রজনন পালক ভিন্ন।

এদের প্রধান খাবার ভূমিজ কীট। প্রজনন সময় এপ্রিল থেকে জুন। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। মাঝে মাঝে এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও ডিম-বাচ্চা তোলে। ডিম পাড়ে ৪-৫টি। ফোটে ১৩-১৫ দিনে।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 01/12/2017

মন্তব্য করুন: