
প্রজাতির বাংলা নাম:‘খয়েরি ঈগল’। ইংরেজি নাম: ‘টাওনি ঈগল’ (Tawny Eagle)। বৈজ্ঞানিক নাম: Aquila rapax। এরা ‘তামাটে ঈগল’ নামেও পরিচিত।
এ ঈগল দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। ব্যাপক অঞ্চল জুড়ে এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি এবং তিন উপ-প্রজাতি নজরে পড়ে। সে ক্ষেত্রে উপ-প্রজাতিরা ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলেও বিচরণ করে। যেমন প্রজাতির কিছুসংখ্যক দেখা যায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ নেপাল ও মিয়ানমারে। আবার কিছু দেখা যায় সুদান, চাদ, ইথিওপিয়া, সোমালিয়ায়। কিছু দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, সোয়াজিল্যান্ড, নামিবিয়ায়। এরা শিকারি পাখি। একাকী কিংবা জোড়ায় বিচরণ করে। স্বভাবে হিংস্র। নিজ দেহের তুলনায় দ্বিগুণ ওজনের স্তন্যপায়ী প্রাণী অনায়াসে শিকার করতে সক্ষম। পুরুষ পাখির গড় দৈর্ঘ্য ৬০-৭৫ সেন্টিমিটার। প্রসারিত ডানা ১৫৯-১৯০ সেন্টিমিটার।
গড় ওজন ১.৫-২ কেজি। স্ত্রী পাখি আকারে সামান্য বড়, চেহারায় তফাত নেই। তবে একই প্রজাতির মধ্যেও বর্ণে সামান্য হেরফের রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই মাথা ও ঘাড় উজ্জ্বল খয়েরি। পিঠ কালচে খয়েরি, মাঝেমধ্যে কালচে ছিট। ডানার প্রান্ত ও লেজের পালক কালচে খয়েরি। দেহতল উজ্জ্বল খয়েরি। ঊরু ও পা খয়েরি পালকাবৃত। যুবাদের রং ভিন্ন। ঠোঁট কালচে খয়েরি, তীক্ষ্ণ, বড়শির মতো বাঁকানো। চোখ বাদামি। ঠোঁটের গোড়া ও মুখের কিনার হলদে। পায়ের পাতা হলদে, নখ কালো।
এদের প্রধান খাবার ছোট পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে আগস্ট। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। কাঁটা গাছে বাসা বাঁধে চিকন ডালপালা দিয়ে। এমনকি পশুর হাড়গোড় দিয়ে বাসা বাঁধতে দেখা যায়। ডিম পাড়ে ২টি। ফুটতে লাগে ৩৯-৪৪ দিন।
লেখক: আলম শাইন।কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 08/10/2017