ধূসরাভবুক লেজকাটা টুনি | Grey bellied tesia | Tesia cyaniventer

1825
ধূসরাভবুক লেজকাটা টুনি | ছবি: ইন্টারনেট

পুচ্ছবিহীন পাখি। দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে লেজের অগ্রভাগ খসে পড়েছে। আসলে ওদের লেজের গড়নটাই অমন। শরীরের তুলনায় মাথা খানিকটা বড়। সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে এলাকায় বেশি নজরে পড়ে। বেশির ভাগই একাকি বিচরণ করে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় দেখা যায়। অত্যন্ত অস্তিরমতি পাখি। কোথাও একদণ্ড বসে থাকার ফুরসত নেই। সারা দিন উড়াউড়ি। লতাগুল্মের ফাঁকফোকরে লাফিয়ে বেড়ায়। গানের গলা ভালো। প্রাকৃতিক আবাসস্থল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চল। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে।

বৈশ্বিক বিস্মৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, লাওস, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও দেশে খুব বেশি নজরে পড়ে না।

পাখির বাংলা নাম: ‘ধূসরাভবুক লেজকাটা টুনি’ ইংরেজি নাম:‘গ্রে-বেলিড টেসিয়া’(Grey-bellied tesia), বৈজ্ঞানিক নাম: Tesia cyaniventer | এরা ‘মেটেপেট টেসিয়া’ নামেও পরিচিত।

দৈর্ঘ্যে ৯-১০ সেন্টিমিটার। ওজন ৮-১২ গ্রাম। মাথা ও ঘাড় চকচকে সবুজ জলপাই। পিঠ কালচে জলপাই। ডানা কালচে ধূসর। চোখের নিচ থেকে দেহতল পর্যন্ত মেটে রঙের। লেজ নেই বললেই চলে। ঠোঁট ছোট, সোজা কালচে। চোখ কালো। লম্বা পা কালচে।

প্রধান খাবার: পোকামাকড়, শুককীট ও মাকড়সা। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুলাই মাস। শৈবাল, শেওলা, শিকড়, তন্তু দিয়ে বর্তুলাকার আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 17/09/2017

মন্তব্য করুন: