ডোরাগলা আবাবিল | Streak-throated Swallow | Hirundo fluvicola

1867
ডোরাগলা আবাবিল | ছবি: ইন্টারনেট

শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। মানব বসতির কাছিকাছি খোলা মাঠ-প্রান্তরে উড়ে বেড়ায়। উড়ন্ত অবস্থায় শিকার ধরে। ছোট-বড় দলে বিচরণ করে। দেখা যায় জোড়ায় কিংবা একাকীও। দেখতে হিংস মনে হতে পারে। আসলে নিরীহ প্রজাতির পাখি এরা। শুধু আক্রান্ত হলে আক্রমণ করে। স্বভাবে চঞ্চল। সারাদিন উড়ে বেড়াতে পছন্দ করে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, উত্তর-পূর্ব হিমালয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত।

পাখির বাংলা নাম: ‘ডোরাগলা আবাবিল’, ইংরেজি নাম: ‘স্টিক থ্রোটেড সোয়ালো’ (Streak-throated Swallow), বৈজ্ঞানিক নাম: Hirundo fluvicola । এরা ‘দাগিগলা আবাবিল’ নামেও পরিচিত।

প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে ১১-১২ সেন্টিমিটার। কপাল ও মাথা গাঢ় বাদামি। ঘাড়ে সাসা-কালো ডোরা দাগ। পিঠ গাঢ় নীল, মাঝে সাদা ডোরা। ডানা ও লেজ কালচে বাদামি। লেজের চেয়ে ডানা খানিকটা লম্বা। দেহতল ক্রিম সাদা। গলা ও বুকে কালো-সাদার মিশ্রণের সঙ্গে ডোরা দাগ। ঠোঁট খাটো কালো। পা কালো।

প্রধান খাবার: কীটপতঙ্গ। মাছির প্রতি আসক্তি লক্ষ করা যায়। প্রজনন মৌসুম জুলাই থেকে অক্টোবর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে পুরনো ঘর-দালানের ফাঁকফোকরে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৬-১৮ দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ, 28/04/2017

মন্তব্য করুন: