সবুজ লেজি মৌটুসি | Green tailed Sunbird | Aethopyga nipalensis

4736
সবুজ লেজি মৌটুসি | ছবি: ইন্টারনেট

পুরুষ পাখির মনোহরণকারী রূপ। সে তুলনায় স্ত্রী পাখি অনেকটাই নিষ্প্রভ। গায়ের রঙে বিস্তর ফারাক। ফুর্তিবাজ পাখি। কণ্ঠস্বর সুমধুর। চঞ্চলও বটে। স্থিরতা নেই বললেই চলে। বেশির ভাগই একাকী বিচরণ করে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। প্রাকৃতিক আবাসস্থল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্র পার্বত্য অরণ্য। এ ছাড়া নাতিশীতোষ্ণ বনাঞ্চলে বিচরণ রয়েছে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ছাড়া পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও তিব্বত পর্যন্ত।

পাখির বাংলা নাম: ‘সবুজ-লেজি মৌটুসি’, ইংরেজি নাম: ‘গ্রিন-টেইলড সানবার্ড’ (Green-tailed Sunbird) বৈজ্ঞানিক নাম: Aethopyga nipalensis |

পুরুষ পাখি দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৫-৫.৮ গ্রাম। স্ত্রী পাখি ১০ সেন্টিমিটার। ওজন ৫-৪.৬ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা ও ঘাড় গাঢ় সবুজ। ঘাড়ের শেষ থেকে পিঠের মধ্যখান পর্যন্ত খয়েরি-লাল। পিঠের নিচ এবং ডানা গাঢ় জলপাইয়ের সঙ্গে খয়েরির মিশ্রণ। লেজ গাঢ় নীলাভ। গলা ও বুক হলুদ মিশ্রিত লাল। বুকের নিচ থেকে বস্তি প্রদেশ পর্যন্ত সবজেটে হলুদ।

শরীরের তুলনায় লেজ খানিকটা লম্বা। অপরদিকে স্ত্রী পাখি মাথা ধূসর জলপাই। পিঠ গাঢ় জলপাই। ডানা বাদামি। ডানার প্রান্ত পালক কালচে। লেজ খাটো বাদামি। দেহতল জলপাই রঙের। উভয়ের ঠোঁট শিং কালো, লম্বা, কাস্তের মতো বাঁকানো। চোখ ও পা কালো।

প্রধান খাবার: ফুলের মধু, ছোট পোকা-মাকড় ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন। নাশপাতি আকৃতির বাসা। গাছের তন্তু, শ্যাওলা, মাকড়সার জাল দিয়ে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ, 14/04/2017

মন্তব্য করুন:

Please enter your comment!
Please enter your name here

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.