বেগুনি কোমর মৌটুসি | Purple-rumped sunbird | Leptocoma zeylonica

3895
বেগুনি কোমর মৌটুসি | ছবি: ইন্টারনেট

আবাসিক পাখি। গ্রামেগঞ্জে নজরে পড়ে। পুরুষ পাখির নজরকাড়া রূপ। স্ত্রী পাখি তেমন একটা সুশ্রী নয়, দেখতে ভিন্ন প্রজাতির মনে হতে পারে। কণ্ঠস্বর সুমধুর। স্বভাবে চঞ্চল। অন্যসব মৌটুসির মতো এদের ভিতরও স্থিরতা নেই। বেশির ভাগই একাকী বিচরণ করলেও প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। প্রাকৃতিক আবাসস্থল নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের বন অথবা গ্রামীণ বনবাঁদাড়। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার পর্যন্ত। দেশে এরা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাপী হুমকি নয়।

পাখির বাংলা নাম: ‘বেগুনিকোমর মৌটুসি’| ইংরেজি নাম: ‘পার্পেল-রামপেড সানবার্ড’(Purple-rumped sunbird) | বৈজ্ঞানিক নাম: Leptocoma zeylonica |

গড় দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার। ওজন ৭ গ্রাম। স্ত্রী পাখি সামান্য খাটো। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় বিস্তর পার্থক্য। পুরুষ পাখির মাথা ব্যাক ব্রাশ ধাতব-সবুজ। ঘাড় ও পিঠ খয়েরি। ডানা বাদামি-কালচে। কোমর বেগুনি। লেজ কালচে। গলা বেগুনি। বুক উজ্জ্বল হলুদ। বুকের নিচ থেকে লেজতল পর্যন্ত হলদে সাদা। শরীরের তুলনায় লেজ খাটো। অপরদিকে স্ত্রী পাখি মাথা ও পিঠ ধূসর-জলপাই। ডানা ধূসর-বাদামি। লেজ খাটো ধূসর-কালো। বাদবাকি পুরুষ পাখির মতোই। উভয়ের ঠোঁট শিং কালো, লম্বা, কাস্তের মতো বাঁকানো। চোখ রক্তিম বর্ণের। পুরুষ পাখির পা নীলাভ-কালো। স্ত্রী পাখির পা ধূসর-কালো।

প্রধান খাবার : ফুলের মধু, ছোট পোকামাকড়, মাকড়সা ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। নাশপাতি আকৃতির বাসা। গাছের তন্তু, শ্যাওলা, মাকড়সার জাল দিয়ে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৬ দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলামলেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 02/04/2017

মন্তব্য করুন: