নীলকপালি গির্দি | Blue fronted redstart | Phoenicurus frontalis

1929
নীলকপালি গির্দি | ছবি: ইন্টারনেট

পাখির বাংলা নাম: ‘নীলকপালি গির্দি’। ইংরেজ নাম: ‘ব্লু ফ্রন্টেড রেডস্টার্ট’(Blue-fronted redstart)। বৈজ্ঞানিক নাম: Phoenicurus frontalis | এরা ‘নীলাভ-লালগির্দি’ নামেও পরিচিত।

এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল নাতিশীতোষ্ণ বনাঞ্চল। এ ছাড়াও পর্বতের রেডোডেনড্রন উচ্চতায় খর্বাকৃতির গাছে বিচরণ করে। গ্রীষ্মে দেখা মেলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, আফগানিস্তান, চীন, তিব্বত, হিমালয়ের আশপাশ এবং শীতে দেখা মেলে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড ও ইন্দোচীনে। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রেও বাছবিচার রয়েছে। যেমন গ্রীষ্মে পোকামাকড় এবং শীতে বীজ বা উদ্ভিজ্জ খাবার খেয়ে থাকে। পুরুষ পাখির আকর্ষণীয় রূপ। সেই তুলনায় স্ত্রী পাখি খানিকটা নিষ্প্রভ।

এরা দেশের স্থায়ী বাসিন্দা নয়। পরিযায়ী হয়ে আসে। সমগ্র বিশ্বে এদের অবস্থান তত সন্তোষজনক নয় বিধায় আইইউসিএন প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ পাখি দৈর্ঘ্যে ১৫-১৬ সেন্টিমিটার, ওজন ১২-১৯ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় তফাত রয়েছে। পুরুষ পাখির মাথা, গলা, ঘাড় ও পিঠ নীল। ডানা কালচে নীল। কোমর লালচে কমলা। লেজে লালচে কমলার সঙ্গে নীলাভ কালচে পালক। দেহতল কমলা লালচে। চোখ কালো। ঠোঁট ও পা নীলচে কালো। স্ত্রী পাখির মাথা, গলা ও ঘাড় বাদামি-ধূসর। পিঠ ধূসর-নীলাভ। দেহতল নীলাভ-ধূসর কমলা। বাদবাকি পুরুষের মতো। যুবাদের রঙ ভিন্ন।

নীলকপালি গির্দির প্রধান খাবার পোকামাকড়, ছোট ফল, বীজ ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম হিমালয় অঞ্চলে আগস্ট থেকে মধ্য মে। চীনে মে থেকে জুলাই। বাসা কাপ আকৃতির। বাসা বাঁধার উপকরণ শুকনো ঘাস, সরু লতাপাতা। ডিম পাড়ে দু-চারটি।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 06/11/2016

মন্তব্য করুন:

Please enter your comment!
Please enter your name here

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.