ধলাকোমর মুনিয়া | White rumped munia | Lonchura striata

3776
ধলাকোমর মুনিয়া | ছবি: ইন্টারনেট

দল বেঁধে বিচরণ করে। অস্থিরমতি পাখি। মাটিতে হাঁটতে কষ্ট হয়। লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটে। গাছের ডালে বসে জোড়ায় জোড়ায় গায়ের সঙ্গে গা মিলিয়ে রাত কাটায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিটি অঞ্চলে কমবেশি নজরে পড়ে। হালে যত্রতত্র দেখা যায় না। আশঙ্কাজনক পর্যায়ে না পৌঁছলেও এরা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। যার ফলে অইইউসিএন প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পাখির বাংলা নাম: ‘ধলাকোমর মুনিয়া’, ইংরেজি নাম: ‘হোয়াইট-রামপেড মুনিয়া’, (White-rumped Munia), বৈজ্ঞানিক নাম: Lonchura striata | দেশে প্রায় পাঁচ প্রজাতির মুনিয়ার সাক্ষাৎ মেলে।

প্রজাতির দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। ওজন ৯-১৩ গ্রাম। মাথা, চিবুক, ঘাড়, বুক গাঢ় কালচের ওপর বাদামি আভা বের হয়। পিঠ কালচে-বাদামির নিচে চওয়া সাদাটান, যা কোমর পর্যন্ত ঠেকেছে। লেজ কালো, অগ্রভাগ চোখা। লেজতল হালকা পাটকিলে। বুকের নিচ থেকে তলপেট পর্যন্ত সাদা। চোখের মনি গাঢ় পাটিকিলে। ত্রিকোণাকৃতির ঠোঁট, নীলাভ কালো। পা স্লেট কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

প্রধান খাবার: ধান, কাউন ও শস্যবীজ। প্রজনন সময় ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। কাঁটা ঝোপ, কাশবন অথবা নল খাগড়ার বনে বাসা বাঁধে। শুকনো খড় লতাপাতা বাসা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪-১৭ দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ, 07/10/2016

মন্তব্য করুন: