জলদস্যু পাখি | Parasitic Jaeger | Stercorarius parasiticus

1946
জলদস্যু পাখি | ছবি: ইন্টারনেট

বাংলা নাম: ‘জলদস্যু পাখি’। ইংরেজি নাম: ‘প্যারাসিটিক’(Parasitic Jaeger)। বৈজ্ঞানিক নাম: Stercorarius parasiticus | এরা ‘পরজীবী জেগার’ নামেও পরিচিত।

পরিযায়ী এ পাখি বিচরণ করে মহাসাগরের উপকূল কিংবা উপসাগরীয় অঞ্চল এবং হ্রদ এলাকায়। এ ছাড়াও তুন্দ্রা অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন সময়ে মহাসমুদ্র এলাকার মহীসোপানে এবং উপকূলীয় এলাকার জলাভূমিতে বিচরণ করে। আবার পাথুরে এলাকায়ও দেখা মেলে। এরা ছোট ছোট দলে বিচরণ করে। সারা দিন সমুদ্রের বুকে উড়ে উড়ে ব্যস্ত সময় পার করে। দেখতে গোবেচারা টাইপ হলেও স্বভাবে কিছুটা হিংস্র এ পাখি অন্যসব জলাচর পাখির ধরা মাছ ঠোঁটে চেপে ধরার মুহূর্তে কেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলে।

জলদস্যুদের মতো রুক্ষ্ম আচরণের ফলে এরা জলদস্যু পাখি নামে পরিচিতি পায়। এরা দৈর্ঘ্যে ৪১-৪৮ সেন্টিমটাির। প্রসারিত ডানা ১০৭-১২৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৩০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম। মাথার রং ধূসর কালো অথবা দুসরাভ-বাদামি। ঘাড় হরিদ্রাভ সাদা। পিঠ ডানা ও লেজ ধূসর কালো। লেজের অগ্রভাগ সুঁচালো। গলা, বুক ও তলপেট হরিদ্রাভ সাদা। ঠোঁটের গোড়া সাদাটে। কালো ঠোঁটের অগ্রভাগ বড়শির মতো বাঁকানো। চোখ বাদামি, পা ও পায়ের পাতা ধূসর কালো। পায়ের পাতা হাঁসের পায়ের মতো জোড়া লাগানো। যুবাদের চেহারা ভিন্ন।

প্রধান খাবার: মাছ। এছাড়াও অন্যান্য পাখিদের ডিম, ইঁদুর, পোকামাকড় এরা খায়। মাঝে মধ্যে ফলও খেতে দেখা যায়। প্রজনন মৌসুম মে থেকে সেপ্টেম্বর। বাসা বাঁধে মাটিতে অথবা পাথরের উপর শৈবাল, শ্যাওলা ও ঘাসলতা বিছিয়ে। ডিম পাড়ে সাধারণত ২টি। মাঝে মধ্যে ১-৩টি ডিম পাড়তে দেখা যায়। ফুটতে সময় লাগে ২৫-২৮ দিন। শাবক উড়তে শেখে ২৫-৩০ দিনের মধ্যে। প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে ৩-৪ বছর।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, 19/07/2016

মন্তব্য করুন:

Please enter your comment!
Please enter your name here

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.