সাদাঘাড় কালো দামা | White collared Blackbird | Turdus albocinctus

2111
সাদাঘাড় কালো দামা | ছবি: ইন্টারনেট

সাদাঘাড় কালো দামা ভূচর পাখি। গো-বেচারা টাইপ চেহারা। গায়ক পাখি। গানের গলাও ভালো। গাছের উঁচু ডালে বসে খুব ভোরে এবং গোধূলিলগ্নে গান গায়। স্বভাবে লাজুক। বেশির ভাগই একাকি বিচরণ করে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। মূলত এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা ক্রান্তীয় আর্দ্র পার্বত্য অরণ্য। এতদাঞ্চলের পরিত্যক্ত বা স্যাঁতসেতে এলাকার লতাপাতা উল্টিয়ে এবং ঘন ঘন ঠোঁট চালিয়ে খাবার খোঁজে। এরা পরিযায়ী প্রজাতির পাখি। দেশের সর্বত্র দেখা যাওয়ার নজির নেই। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, মিয়ানমার ও চীন পর্যন্ত।

প্রজাতিটির বাংলা নাম: ‘সাদাঘাড় কালো দামা’, ইংরেজি নাম: ‘হোয়াইট-কলারড ব্লাক বার্ড’ (White-collared Blackbird), বৈজ্ঞানিক নাম: Turdus albocinctus | এরা ‘ধলাঘাড় কালিদামা’ নামেও পরিচিত।

এরা দৈর্ঘ্যে ২৬-২৮ সেন্টিমিটার লম্বা। ওজন ৯৬ থেকে ১০৫ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা একই রকম হলেও রঙে সামান্য পাথর্ক্য আছে। পুরুষ পাখির মাথা ধূসর কালো। ঘাড়ে সাদা বলয়, যা গলায় গিয়ে প্রসারিত হয়েছে। পিঠ অস্পষ্ট বুটিক কালো। ডানা লেজ নীলাভ কালো। দেহতল কালো। চোখ বাদামি। ঠোঁট ও পা হলুদ। অপরদিকে স্ত্রী পাখির মাথা ও পিঠ ধূসর কালো, বাদবাকি পুরুষ পাখির মতো।

প্রধান খাবার: কেঁচো, পোকামাকড় ছোট ফল ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে জুলাই। বাসা বাঁধে ভূমি থেকে ১-৩ মিটার উঁচুতে। কাপ আকৃতির বাসা। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে শৈবাল, শুকনো ঘাস ও লতাপাতা। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ডিম ফুটতে সময় ১৪-১৫ দিন।

লেখক: আলম শাইন। কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।
সূত্র: দৈনিক মানবকণ্ঠ, 11/03/2016

মন্তব্য করুন: